প্রতিষ্ঠাতা পরিচিতি

মাওলানা মুহাম্মাদ হুমায়ুন কবির খান
arrow

মুহতারাম হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ হুমায়ুন কবির খান (হাফিযাহুল্লাহ) ইসলামি জ্ঞান রাজ্যের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। যিনি আল্লাহ প্রদত্ত অতুলনীয় বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী একজন শীর্ষস্থানীয় আলিম, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও ফকিহ। তিনি অত্যন্ত বিনয়ী, প্রচার বিমুখ, মুত্তাকী। ইসলামি জ্ঞান-বিজ্ঞানের উচ্চমানসম্পন্ন বহু গ্রন্থের সংকলক ও রচয়িতা। ব্যক্তি জীবনে তিনি হানাফি মাযহাবের অনুসারী।

জন্ম ও পরিচিতি
arrow

এই মহান ব্যক্তিত্ব ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ই মে মঙ্গলবার বর্তমান লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানাধীন নোয়াগাঁও ইউনিয়নের পাঠান বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা বিশিষ্ট আলিম মুহতারাম ক্বারী মোহাম্মাদ খান (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) এবং মাতা মহীয়সী নারি মুহতারামা নূরুন নিসা (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)। যাঁরা অত্যন্ত নেককার ও পরহেজগার ছিলেন। তাঁদের চার ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে তিনি সর্বকনিষ্ঠ সন্তান।

শিক্ষাজীবন
arrow

তাঁর পিতা যেহেতু বিশিষ্ট আলিম ও কারি ছিলেন তাই পিতার কাছেই লেখাপড়ার হাতেখড়ি। ১৯৭৬ সালের জানুয়ারি মাসে “১৩নং নোয়াগাঁও পঞ্চায়েত বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়”-এ প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির মধ্য দিয়ে তিনি প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া শুরু করেন। উক্ত প্রতিষ্ঠানে ৫ মাস লেখাপড়া করার পর একই বছরের জুন মাসে “নোয়াগাঁও বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়”-এ ভর্তি হন। দ্বিতীয় শ্রেণিতে কোনো স্কুলে লেখাপড়া না করেই ১৯৭৭ সালে ঢাকার “তেজগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়”-এ তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হন। উক্ত শ্রেণিতে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৭৮ সালে একই প্রতিষ্ঠানে চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি হন। সেখানে অধ্যয়নরত অবস্থায় জুন মাসে এলার্জি রোগে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হন। অতঃপর গ্রামের বাড়ি ফিরে গিয়ে জুলাই মাসে পুনরায় “১৩নং নোয়াগাঁও পঞ্চায়েত বাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়”-এ চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি হন। এখান থেকেই ১৯৭৯ সালে পঞ্চম শ্রেণিতে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৮০ সালে “নোয়াগাঁও জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়”-এ ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৮৩ সালে নবম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় তাঁর পিতা ইন্তিকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন)।তাঁর পিতা মুমূর্ষু অবস্থায় বারংবার আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করে বলতেন : “হে আল্লাহ, আমার হুমায়ুনকে আলিম বানান ও ওলী বানান”। ১৯৮৫ সালে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন উক্ত প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন। অতঃপর ঢাকা ‘সিটি কলেজে’ একাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। একাদশ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় পিতার অন্তিম ইচ্ছার কথা বারংবার মনে রেখাপাত করায় তিনি আলিম হওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে মাদরাসায় অধ্যায়নের দৃঢ় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। অতঃপর তিনি ১৯৮৫ সালে ব্যারিস্টার মাওলানা কুরবান আলী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারে (৪৪ পুরানা পল্টন, ঢাকা) ভর্তি হন। তিনি যেহেতু স্কুল শিক্ষার্থী ছিলেন তাই আলিয়া মাদরাসার ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত সিলেবাসের যাবতীয় লেখাপড়া এখানে প্রাইভেটভাব মাত্র তিন মাসের মধ্যেই সমাপ্ত করেন। এসময়ে যারা তাঁর লেখাপড়ায় সহযোগিতা করেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম “মাসিক কাবার পথে” পত্রিকার সম্পাদক জনাব সাইফুদ্দিন ইয়াহইয়া।১৯৮৫ সালের নভেম্বর মাসে ‘কাজীপাড়া ছিদ্দিকিয়া ফাযিল মাদরাসা’-এ (মিরপুর, ঢাকা) নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৮৬ সালের জানুয়ারি মাসে ‘কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া আলিয়া কামিল মাদরাসা’-এ (মোহাম্মদপুর, ঢাকা) দশম শ্রেণিতে ভর্তি হন। উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে ১৯৮৭ সালে দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হওয়ার মতো বিরল কৃতিত্ব অর্জন করেন। যার ফলে তৎকালীন দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় রোল নম্বর ও ছবিসহ তাঁকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়।১৯৮৭ সালে তিনি ‘জামেয়া কাসেমিয়া কামিল মাদরাসা’-এ (গাবতলী, নরসিংদী) আলিম প্রথম বর্ষে ভর্তি হন। তাঁর পরিবারের সবাই ঢাকায় স্থায়ীভাবে অবস্থানের কারণে উক্ত প্রতিষ্ঠানে চার মাস অধ্যয়ন করার পর একই বছর ঢাকার ফকিরাপুলে অবস্থিত ‘মিছবাহুল উলুম কামিল মাদরাসা’-এ পুনরায় আলিমে ভর্তি হন। ১৯৮৯ সালে অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে আলিম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে সেখানেই ফাযিলে ভর্তি হন। অতঃপর ১৯৯১ সালে ফাযিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে ‘সরকারি মাদরাসা-ই-আলিয়া’ (ঢাকা) এ কামিল হাদিস বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৯৩ সালে উক্ত বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হন। কামিলের ভাইভা পরীক্ষায় তিনি ১০০ এর মধ্যে ৯৫ নম্বর পেয়ে তৎকালীন মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের ইতিহাসে বিরল কৃতিত্ব অর্জন করেন।অপরদিকে, ১৯৮৯-৯০ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ বছর মেয়াদি বিএ (অনার্স) পড়ার লক্ষ্যে ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ২৮০০০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে মেধা তালিকায় ৯০৩ তম স্থান অর্জন করেন। মেধা তালিকা অনুযায়ী অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হতে চাইলে, তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, মাদরাসায় পড়ার কারণে তাঁকে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হওয়ার সুযোগ না দিয়ে ইসলামিক হিস্ট্রি এন্ড কালচার বিভাগে ভর্তি করেন। যথাক্রমে ১৯৯২ সালে বিএ (অনার্স) ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মেধা তালিকায় ষষ্ঠ স্থান অর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বৃত্তি প্রাপ্ত হন। ১৯৯৩ সালে উক্ত বিভাগ থেকে এমএ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মেধা তালিকায় অষ্টম স্থান অর্জন করে আবারও বৃত্তি প্রাপ্ত হন।

শিক্ষকমণ্ডলী
arrow

০১. জনাব আলী আজম, সহকারী শিক্ষক (গণিত), নোয়াগাঁও জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়, রামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর।০২. জনাব ভূবন বিএসসি, সহকারী শিক্ষক (গণিত), নোয়াগাঁও জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়, রামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর।০৩. জনাব সুভাষ বসু, সহকারী শিক্ষক (জীববিজ্ঞান) নোয়াগাঁও জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়, রামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর।০৪. জনাব মাওলানা আব্দুর রব, প্রভাষক (আরবি), কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া কামিল মাদরাসা, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।০৫. জনাব মাওলানা আবুল খায়ের, সানী মুহাদ্দিস, কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া কামিল মাদরাসা, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।০৬. জনাব হাফেজ মাওলানা এমএ জলিল, অধ্যক্ষ- কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া কামিল মাদরাসা, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।০৭. অধ্যাপক মাওলানা মুহাম্মাদ ওয়াজি উদ্দিন, হেড মুহাদ্দিস- মাদরাসা-ই আলিয়া, ঢাকা।০৮. অধ্যাপক মাওলানা মুহাম্মাদ মাহবুবুল আলম, হেড মাওলানা- মাদরাসা-ই আলিয়া, ঢাকা।০৯. প্রফেসর মাওলানা মুহাম্মাদ সালাহউদ্দিন, হেড মুহাদ্দিস- মাদরাসা-ই আলিয়া, ঢাকা, খতিব বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদ, ঢাকা।১০. প্রফেসর মাওলানা মুহাম্মাদ ইউনুস সিকদার, অধ্যক্ষ- মাদরাসা-ই আলিয়া, ঢাকা।১১. জনাব মাওলানা মুহাম্মাদ ওবায়দুল হক, হেড মাওলানা- মাদরাসা-ই আলিয়া, ঢাকা, খতিব বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদ, ঢাকা।১২. জনাব মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল হক, মুহাদ্দিস- মাদরাসা-ই আলিয়া, ঢাকা।১৩. প্রফেসর মুফতি মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম, প্রধান ফকীহ- মাদরাসা-ই আলিয়া, ঢাকা।১৪. মাওলানা কারী ইউসুফ, শাইখুল কুররা, বাংলাদেশ। মাক্কী মসজিদ, লালবাগ, ঢাকা।১৫. মাওলানা কারী উবায়দুল্লাহ, খতিব- শাহী মসজিদ, চকবাজার, ঢাকা।১৬. ব্যারিস্টার মাওলানা মুহাম্মাদ কুরবান আলী, (ডেপুটি স্পিকার- তৃতীয় জাতীয় সংসদ)।১৭. জনাব মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম, প্রতিষ্ঠাতা- তালাবায়ে আরাবিয়া, চেয়ারম্যান- ইসলামি ঐক্য আন্দোলন ও সদস্য- ওআইসি ফিকাহ একাডেমি।১৮. জনাব মাওলানা মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, অধ্যক্ষ- মিছবাহুল উলুম কামিল মাদরাসা, উপদেষ্টা- শরীয়া কাউন্সিল ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড।১৯. প্রফেসর ড. সূফী আহমেদ, ডিপার্টমেন্ট অব ইসলামিক হিস্ট্রি এন্ড কালচার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় অধ্যাপক।২০. প্রফেসর ড. মনসুর আহমদ, ডিপার্টমেন্ট অব ইসলামিক হিস্ট্রি এন্ড কালচার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।২১. প্রফেসর ড. পারেস ইসলাম, ডিপার্টমেন্ট অব ইসলামিক হিস্ট্রি এন্ড কালচার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।২২. প্রফেসর ড. মূসা আনসারী, ডিপার্টমেন্ট অব ইসলামিক হিস্ট্রি এন্ড কালচার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।২৩. প্রফেসর ড. মাহফুজুল হক, ডিপার্টমেন্ট অব ইসলামিক হিস্ট্রি এন্ড কালচার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।২৪. প্রফেসর ড. ইবরাহীম, ডিপার্টমেন্ট অব ইসলামিক হিস্ট্রি এন্ড কালচার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।২৫. প্রফেসর ড. আখতারুজ্জামান, ডিপার্টমেন্ট অব ইসলামিক হিস্ট্রি এন্ড কালচার ও ভিসি- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।২৬. প্রফেসর ড. আতাউর রহমান মিয়াজী, ডিপার্টমেন্ট অব ইসলামিক হিস্ট্রি এন্ড কালচার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।২৭. প্রফেসর ড. আতাউর রহমান, ডিপার্টমেন্ট অব ইসলামিক হিস্ট্রি এন্ড কালচার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

কর্মজীবন
arrow

১৯৯৩ সালে মুন্সীগঞ্জে অবস্থিত “সরকারি হরগঙ্গা কলেজ” এ ইসলামের ইতিহাস বিভাগে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। কিন্তু কলেজটি ঢাকার বাহিরে হওয়ার কারণে যোগদান করেননি। ১৯৯৪ সালে "ঢাকা নেছারিয়া কামিল মাদরাসা" (ফরিদাবাদ, ঢাকা) এ ইসলামের ইতিহাস বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদানের মধ্য দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত উক্ত প্রতিষ্ঠানে প্রায় দুই বছর অধ্যাপনার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ঢাকায় অবস্থিত তৎকালীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের লাইব্রেরিতে নিয়মিত গবেষণা করেন এবং তাঁর গবেষণালব্ধ বিষয়সমূহ পরবর্তীতে বই আকারে প্রকাশিত হয়। একইসঙ্গে এ সময়ে পথহারা ও আত্মভোলা মানুষের তাযকিয়া বা আত্মশুদ্ধির উদ্দেশ্যে নিরবিছিন্নভাবে তরিকার কাজে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করেন। অতঃপর ২০০০ সালে সম্মানজনক রিজিকের জন্য ‘আল বারাকা ফার্মেসি’ নামে ঢাকার সবুজবাগের উত্তর গোড়ানে ব্যবসা শুরু করেন। একই নামে ঢাকার তেজগাঁওয়ের কাওরান বাজারে ২০১৫ সালে আরেকটি ফার্মেসি শুরু করেন।

প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানসমূহ
arrow

১. খানকায়ে মাদানিয়া কাসেমিয়া, কোনাপাড়া, ঢাকা (প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৯৬ সাল)২. সিরাজাম মুনীরা প্রকাশনী, দনিয়া, ঢাকা (প্রতিষ্ঠাকাল ২০০৯ সাল)৩. মারকাযু বুহুছিল ইসলামিয়াহ, ঢাকা (প্রতিষ্ঠাকাল ২০১১ সাল)৪. তাযকিয়া ফাউন্ডেশন, দনিয়া, ঢাকা (প্রতিষ্ঠাকাল ২০১৩ সাল)৫. মাজালিসুত তা‘লিম ওয়াত তাযকিয়াহ (প্রতিষ্ঠাকাল ২০১৪)৬. নুরুননিসা ফাউন্ডেশন (প্রতিষ্ঠাকাল ২০১৭ সাল)

রচনাবলী
arrow
(তাঁর রচিত ও প্রকাশিত গ্রন্থাবলী)

১. কানযুল আ‘দাব ওয়াল আ‘মাল (প্রকাশকাল- জানুয়ারি ২০০৭)২. শয়তানের মোকাবেলা এবং আল্লাহ প্রাপ্তির উপায় (প্রকাশকাল- জুলাই ২০০৯)৩. মিশকাতুস সুনান ওয়াল আ‘মাল (প্রকাশকাল- ফেব্রুয়ারি ২০১০)৪. তা‘লীমুস সালাত (প্রকাশকাল- সেপ্টেম্বর ২০১০)৫. ফাযাইলু আফযালিয যিকরি ওয়াস সলাওয়াত (প্রকাশকাল- ডিসেম্বর ২০১০)৬. ফাযাইলুস সাহাবা ওয়া আহলিল বাইত (প্রকাশকাল- জুলাই ২০১১)৭. খাজিনাতুল জান্নাহ ওয়া নাজাতুল আখিরাহ (প্রকাশকাল- নভেম্বর ২০১১)৮. মানাসিকুল হাজ্জ ওয়াল উমরাহ (প্রকাশকাল- জুলাই ২০১২)৯. ইলমে দ্বীন শিক্ষা ও আলিমের ফযিলত (প্রকাশকাল- জানুয়ারি ২০১৩)১০. ওয়াযীফাতুস সুনান (প্রকাশকাল- জুন ২০১৩)১১. কানজুল আবরার (প্রকাশকাল- নভেম্বর ২০১৮)১২. ওয়াযীফাতুস সালেকীন (প্রকাশকাল-আক্টোবর ২০২২)১৩. আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর দীদার (প্রকাশকাল-নভেম্বর ২০২২)১৪. আহলে বাইত গণের গুরুত্ব ও ফযিলত (প্রকাশকাল-সেপ্টেম্বর ২০২৩)১৫. ইসলামের দৃষ্টিতে যুলুম ও যালিমের পরিণতি (প্রকাশকাল-সেপ্টেম্বর ২০২৩)১৬. ইসলামের দৃষ্টিতে সুদ ও ঋণ (প্রকাশকাল-সেপ্টেম্বর ২০২৩)১৭. ঘুষ ও হারাম উপার্জন (প্রকাশকাল-সেপ্টেম্বর ২০২৩)১৮. সালাত বর্জনকারীর ভয়াবহ পরিণতি (প্রকাশকাল-সেপ্টেম্বর ২০২৩)১৯. ইসলামে দান সদকার গুরুত্ব ও ফযিলত (প্রকাশকাল-সেপ্টেম্বর ২০২৩)২০. দ্বীনি ভাইকে ভালোবাসার ফযিলত (প্রকাশকাল-সেপ্টেম্বর ২০২৩)২১. ‘ইলমের মাজলিসে অংশগ্রহণের ফযিলত (প্রকাশকাল-সেপ্টেম্বর ২০২৩)

অন্যান্য সংকলন
arrow

০১. সূরা ইখলাসের হাদিসভিত্তিক ফাযায়িল০২. সংক্ষেপে সূরাতুল ফাতিহার ফাযায়িল০৩. সূরা ইয়াসিন- এর ফাযায়িল৩. সূরা ইয়াসীন এর ফাযায়িল০৪. আস সালামু আলাল মাহবুবিনা ওয়াল মুকাররাবিন- পুরুষ (আরবি ও বাংলা)০৫. আস সালামুন আলাল মাহবুবিনা ওয়াল মুকাররাবিন- মহিলা (বাংলা)০৬. হাদিসের আলোকে সালাতুল ইস্তেখারা০৭. সালাতুল হাজত০৮. মুহাররম মাসের ফাযায়িল ও আমালিয়াত০৯. সফর মাসের আমালিয়াত১০. রজব মাসের ফাযায়িল ও আমালিয়াত১১. জিলহজ মাসের ফাযায়িল ও আমালিয়াত১২. সকাল সন্ধ্যার অযিফা১৩. লাইলাতুল কদরের আমালিয়াত১৪. লাইলাতুল বরাতের আমালিয়াত১৫. রোগব্যাধি ও বিপদ-আপদ হতে রক্ষা পাওয়ার আমালিয়াত১৬. রোগী দেখার ফাযায়িল১৭. মাকবূল দোয়াকারীর বিবরণ১৮. মৃত্যুর পূর্বে জান্নাতের স্বীয় বাসস্থান দেখার আমালিয়াত১৯. মহিলাদের হায়েজ অবস্থায় করণীয় ও বর্জনীয়২০. বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম এর ফাযায়িল২১. হাদিস শরিফের আলোকে ফরজ সালাতের পরবর্তী আমালিয়াত২২. হাদিসভিত্তিক ফজিলতপূর্ণ দৈনিক অতিরিক্ত অযিফা২৩. দৈনিক অযিফা আরবি২৪. দূরূদে মুকাদ্দাস২৫. দূরূদ শরীফের ব্যাপারে ৪০ হাদিস২5. হাদিস শরিফের আলোকে কতিপয় দূরূদ শরীফ ও তাঁর ফজিলত২৬. হাদিস শরিফের আলোকে সংক্ষেপে দূরূদ শরীফের ফজিলত২৭. দোয়া কবুলের সময়২৮. হাদিস শরিফের আলোকে দারিদ্রতা দূর হওয়ার আমালিয়াত২৯. তেত্রিশ আয়াত৩০. হাদিস শরিফের আলোকে জুম‘আর রাত ও দিনের আমালিয়াত৩১. জুম‘আতুল বিদার সালাত৩২. হাদিস শরিফের আলোকে ঘুমানোর পূর্বের আমালিয়াত৩৩. সফরের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হওয়ার পূর্বের ও পরের আমালিয়াত৩৪. হাদিস শরিফের আলোকে খাবারের দোয়াসমূহ৩৫. খতমে খাজেগান৩৬. কিয়ামুল লাইল এর সওয়াব লাভের আমল৩৭. হাদিস শরিফের আলোকে কুরআন তিলাওয়াতের ফজিলত৩৮. কবর জিয়ারত৩৯. ইসমে আ‘যম৪০. হাদিস শরিফের আলোকে আসরের সালাত পরবর্তী অজিফা৪১. হাদিস শরিফের আলোকে আযানের দু‘আসমূহ৪২. সংক্ষেপে আয়াতুল কুরসি পাঠ করার ফাযায়িল৪৩. আইয়ামে বীজের রোজা৪৪. হাদিস শরিফের আলোকে অযুর আমালিয়াত৪৫. ঈদের রাতের আমালিয়াত৪৬. সালাতের স্থায়ী সময়সূচি৪৭. বদরি সাহাবিগণের নাম মুবারক৪৮. চাঁদের তারিখ নির্ভর সকল ইবাদত বিশ্বের সাথে বাংলাদেশে একই চান্দ্র তারিখ ও একই দিনে পালন সংক্রান্ত ঐতিহাসিক ফাতওয়া’৪৯. শুয়াদায়ে কারবালাগণের নাম মুবারক৫০. তাজবিদ সংযোজিত আমপারা৫১. কুরআন শরিফ ১ থেকে ৩০ পারা৫২. ইস্তেগফার পাঠ করার ফজিলত৫৩. আত্মীয়তার সম্পর্ক৫৪. দর্শনীয় স্থান৫৫. কিয়ামতের আলামত বা কিয়ামতের পূর্ব লক্ষণ৫৬. হাজ৫৭. হজ সামগ্রী ও ইহরাম বাঁধা৫৮. রসুলুল্লাহ ﷺ-এর পবিত্র অসিয়াত মুবারক৫৯. রোযার মাসআলা (আধুনিক সমস্যার সমাধানসহ)৬০. সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি এর ফজিলত৬১. সালাতুল মুসাফির৬২. সুদ, ঘুষ ও ঋণ৬৩. পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের শেষে হাদিয়া শরিফ৬৪. সাহু সিজদাহ৬৫. লা হাওলা ওয়ালাকুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ এর ফযিলত৬৬. সালাত বর্জনকারীর ভয়াবহ পরিণতি৬৭. যিকিরের মাহফিলে অংশগ্রহণকারীর ফজিলত৬৮. জাকাতের মাসয়ালা৬৯. যারা রসূলুল্লাহ ﷺ এর দলভুক্ত নয়৭০. মাদক ও নেশা গ্রহণকারীর ভয়াবহ পরিণতি৭১. বিবাহের সুন্নাত ও মাসায়িল৭২. ভাইয়ের প্রতি ভাইয়ের ভালোবাসা৭৩. মাহফিলে অংশগ্রহণের গুরুত্ব ও উপকারিতা৭৪. বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করার আমালিয়াত৭৫. পিতামাতার হক৭৬. চিত্রসহকারে পুরুষ ও মহিলাদের সালাত৭৭. রাতে জাগ্রত হওয়ার পরের আমালিয়াত৭৮. জান্নাত ওয়াজিব হওয়ার আমল৭৯. জাহান্নাম হারাম হওয়ার আমল৮০. হাদিসের আলোকে দোয়া ও মুনাজাত৮১. ইসলামে হিজাব বা পর্দার গুরুত্ব৮২. ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর অধিকার৮৩. উমরা৮৪. আল্লাহ প্রাপ্তির উপায়৮৫. আহ্‌কামুল মাইয়্যেত৮৬. একনজরে কবিরা গুনাহের তালিকা৮৭. মিলাদ শরিফ৮৮. অভিশপ্ত যারা৮৯. গুনাহ মাফের আমল৯০. চল্লিশ হাদিস সংকলন (১-৫)৯১. যার দু’আ কবুল হয়৯২. ইফতারের দোয়া৯৩. সূরা ক্বাহাফ৯৪. রাতের বেলায় কুরআনুল কারিমের অযিফা৯৫. গিবতের ভয়াবহ পরিণাম৯৬. দান-সদকার ফজিলত৯৭. প্রতিবেশীর হক৯৮. মহিলাদের পিরিয়ডকালীন করণীয়৯৯. মহিলাদের পিরিয়ডকালীন মাসায়েল১০০. ইমানের ৭৭টি শাখা

ইলমে ফিকহে
arrow
বিশেষ অবদান

১. চাঁদের তারিখ নির্ভর সকল ইবাদত মুসলিম বিশ্বের সাথে বাংলাদেশে একই চান্দ্র তারিখে একই দিনে পালন সম্পর্কিত ১৩৬ খানা গ্রন্থের শরয়ি ফতওয়া সংকলন২. সালাত সম্পর্কিত বিস্তারিত মাসায়েলের সমাহার ‘তা‘লীমুস সালাত’ প্রনয়ন।৩. হজ্জ ও উমরার যাবতীয় মাসায়েলের সংকলন ‘মানাসিকুল হাজ্জ ওয়াল উমরাহ’৪. রোযা সম্পর্কে বিস্তারিত সংকলন ‘রোযার মাসয়ালা’, ‘নফল রোযা ও ফযিলত’, ‘রোযার ফযিলত ও সাহরির গুরুত্ব’৫. যাকাত সম্পর্কে বিস্তারিত সংকলন ‘যাকাতের মাসয়ালা’

দাওয়াতি সফর
arrow

দ্বীনের দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে ফাউন্ডেশনের আওতাধীন সকল শাখায় নিয়মিত সফর করেন। এছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় তা’লিম ও তাওয়াজ্জুহ মাহফিল পরিচালনার জন্য সফর করেন। তিনি ইতোমধ্যে তা‘লিম ও তাওয়াজ্জুহের কাজে এ পর্যন্ত সৌদি আরব সফর করেছেন ৩২ বার, ভারত সফর করেছেন ৪ বার, মিশর সফর করেছেন ২ বার, সিঙ্গাপুর সফর করেছেন ২ বার, মালয়েশিয়া সফর করেছেন ৩ বার, ইন্দোনেশিয়া সফর করেছেন ১ বার, আমেরিকা সফর করেছেন ১ বার, কানাডা সফর করেছেন ২ বার। তিনি সর্বপ্রথম ওমরা করেন ১৯৯৯ সালে এবং সর্বপ্রথম হজ করেন ২০০০ সালে।

বৈদেশিক
arrow
সফর

সৌদি আবর প্রথম সফর করেন ১৯৯৯ সালে। দ্বিতীয় বার সফর করেন ২০০০ সালে। এভাবে ২০২২ সাল পর্যন্ত মোট সৌদি আরব ৩২ বার সফর করেন। ভারত সফর করেন ২০১২, ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৯ মোট ৪ বার। সিঙ্গাপুর সফর করেন ২০১৮ ও ২০২০ মোট ২ বার।মালয়েশিয়া সফর করেন ২০১৭, ২০১৮ ও ২০২০ মোট ৩ বার। ইন্দোনেশিয়া সফর করেন ২০১৮ সালে। মিশর (কায়রো, আলেকজান্দ্রিয়া) সফর করেন ২০১৬ ও ২০১৮ মোট ২ বার। আমেরিকা মহাদেশে (নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, কানেকটিকাট, বোস্টন, আটলান্টা, এ্যালাবামা, দেলোয়ার, ওয়াশিংটন ডিসি, ভার্জিনিয়া, প্যানসালভেনিয়া ও মেরিল্যান্ড) সফর করেন ২০১৯ সালে। কানাডা (অটোয়া, মন্টিয়াল, টরেন্টো) সফর করেন ২০১৯ সালে ২ বার।

নসিহত
arrow
সমূহ

আকিদাগত নসিহত

০১. আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা এক ও অদ্বিতীয়। তাঁর জাত ও সিফাত এক ও অনন্য। যার সাথে কোনো কিছুর তুলনা হয় না। তিনি সকল কুল কায়েনাতের সৃষ্টিকর্তা ও মালিক। তিনি সকল সৃষ্টির রিযিকদাতা, বিধানদাতা, পালনকর্তা। তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন বরং সকল সৃষ্টিই তাঁর মুখাপেক্ষী। তিনি চিরস্থায়ী, চিরঞ্জীব। তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও কেউ জন্ম দেয়নি। তিনি স্থান, কাল, আকার-আকৃতি, সবকিছু থেকে পুতঃপবিত্র। সৃষ্টি জগতের কোনো কিছুই তাঁর কুদরত ও ইলমের বাইরে নয়।০২. রাসুলে কারিম ﷺ জাত ও সিফাতের দিক থেকে কুল কায়েনাতের মধ্যে এক অনন্য। আল্লাহর পরে যাঁর মর্যাদা। তিনিই সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবি এবং রাসুল। যাঁর সাথে সৃষ্টি জগতের কোনো কিছুই তুলনীয় নয়। তাঁর মাকামে সৃষ্টি জগতের আর কেউ নেই। তিনি তিনটি রূপেই বিদ্যমান। সুরতে বাশারি (পৃথিবীতে), সুরতে মালাকি (আসমানে), সুরতে হাক্বী (লা-মাকানে)। তাঁর হাকিকত ও মাকামাত সম্পর্কে একমাত্র আল্লাহ তাবারাকা তা‘য়ালাই ভালো জানেন।০৩. রাসুল ﷺ পবিত্র সত্ত্বা নূরের সৃজন। তিনি দেখাশুনা ও জ্ঞানের মাধ্যমে হাযির ও নাযির। রাসুল ﷺ আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহে আদি-অন্তের সকল অবস্থা ও ইলমে গায়েব জানেন। ০৪. রাসুল ﷺ সহ সকল আম্বিয়ায়ে কিরাম আলাইহিমামুস সালাম তাঁদের রওজা শরিফে জিন্দা এবং রিযিকপ্রাপ্ত।০৫. আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তাঁর প্রিয় হাবিব ﷺ কে দুনিয়া ও আখিরাতের সকল বিষয়ে অবগত করেছেন।০৬. রাসুল ﷺ সকল সৃষ্টিজগতের মহান শিক্ষক।০৭. হাশরের ময়দানে আল্লাহর অনুমতিক্রমে রাসুল ﷺ উম্মতের জন্য সুপারিশ করবেন।০৮. রাসুলে আরাবি ﷺ সৃষ্টি জগতের যে কোনো প্রান্ত হতে দূরূদ ও সালাম শুনতে পান।০৯. স্বশরীরে রাসূলে আরাবি ﷺ মেরাজে গমন করেন এবং কপালের চোখে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার দিদার লাভ করেন।১০. রাসুলে আরাবি ﷺ-এর দেহ মুবারক থেকে নির্গত সকল কিছুই পুতঃপবিত্র।১১. নবুয়ত প্রাপ্তির পূর্বেও সৃষ্টির শুরু থেকে রাসুল ﷺ নবি ছিলেন।১২. নবুয়ত প্রাপ্তির পূর্বের জীবনও উম্মতের জন্য আদর্শ।১৩. সকল আম্বিয়ায়ে কিরাম আলাইহিমুস সালাম মাসুম বা নিস্পাপ।১৪. আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তায়ালা যত আলম বা জগতসমূহের সৃষ্টিকর্তা রাসুল ﷺ তত আলাম বা জগতসমূহের জন্যই রহমত।১৫. রাসুল ﷺকে আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা লাভ-ক্ষতির মালিক করেছেন।১৬. আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তায়ালা রাসুল ﷺ কে উম্মতের জন্য হালাল ও হারাম নির্ধারণকারী বানিয়েছেন।১৭. রাসুল ﷺ-এর পিতামাতা পূর্বের ধর্মের অনুসারী হানিফ ছিলেন। পরবর্তীতে আল্লাহর বিশেষ কুদরতে ইসলামধর্ম গ্রহণ করে মুমিন হয়েছিলেন।১৮. মিলাদুন্নাবি ﷺ উদ্‌যাপন করা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের সর্বশ্রেষ্ঠ উপায়।১৯. স্বশরীরে রাসুল ﷺ-এর যিয়ারত সম্ভব।২০. রাসুল ﷺ সৃষ্টিজগতের যেকোনো স্থানে স্বশরীরে ভ্রমণ করতে পারেন।২১. হযরত ঈসা (আ) পৃথিবীতে পুনরায় আগমন করবেন।২২. রাসুল ﷺ-এর কোন ছায়া ছিল না।২৩. রাসুল ﷺ-এর সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো বস্তু থেকে বরকত হাসিল করা বৈধ।২৪. শুধু রাসুল ﷺ-এর রওজা শরিফ যিয়ারত করার উদ্দেশ্যে সফর করা বৈধ।২৫. রাসুল ﷺ-এর কোনো কিছুই দুনিয়ার কোনো মানুষের মতো নয়।২৬. সকল সাহাবি রিদওয়ানুল্লাহি আজমাইন সত্যের মাপকাঠি।২৭. মিলাদ শরিফ পাঠ করা এবং তাঁকে বরকতের উসিলা মনে করা বৈধ।২৮. রাসুল ﷺ যেকোনো বিপদগ্রস্থ উম্মতকে স্বশরীরে অথবা রুহানী ভাবে সাহায্য করতে পারেন।২৯. ইসলামের কালিমা হচ্ছে- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ ﷺ।৩০. উম্মাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি হচ্ছেন সিদ্দিকে আকবর হযরত আবু বকর (রা); দ্বিতীয় সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি হচ্ছেন ফারুকে আযম হযরত উমার ইবনুল খাত্তাব (রা); তৃতীয় সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি হচ্ছেন হযরত উসমান যিন্‌নুরাইন (রা) এবং চতুর্থ সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি হচ্ছেন হযরত আলি (রা)।৩১. আহলে বাইতগণের মুহাব্বতই হচ্ছে ইমানের ভিত্তি।৩২. কোনো পাপের কারণে মুসলমান কাফির হয়ে যায় না যদিও সে কবিরা গুনাহ করে।৩৩. আউলিয়ায়ে কিরামগণ রুহানিভাবে কোনো বিপদগ্রস্থ মানুষকে সাহায্য করতে পারেন।৩৪. ইয়াজিদ ইসলাম ও মুসলমানদের চিরশত্রু এবং একজন জালিম শাসক।৩৫. আউলিয়ায়ে কামিলীনদের তাবাররুক থেকে বরকত হাসিল করা বৈধ।৩৬. নেককার-সালেহীন ব্যক্তিদের ইসালে সওয়াব করা বৈধ।৩৭. কবরে মুনকার নাকিরের প্রশ্ন করার বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত সত্য।৩৮. আউলিয়ায়ে কিরাম, নেককার, পিতামাতা, শিক্ষক ও মুরুব্বীদের কদমবুছি করা বৈধ।৩৯. কুরআনুল কারিম হলো কালামুল্লাহ যা রাসুল ﷺ এর উপর নাযিল হয়েছে এবং মাসহাফে লিপিবদ্ধ।৪০. আল্লাহ তায়ালার নাযিলকৃত কিতাবসমূহ, ফিরিশতাগণ, জান্নাত, জাহান্নাম ও তাকদিরের প্রতি ইমান স্থাপন করা আবশ্যক।৪১. রাসুল ﷺ-এর সন্তুষ্টিই হচ্ছে আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি। রাসুল ﷺ-এর অসন্তুষ্টিই হচ্ছে আল্লাহ পাকের অসন্তুষ্টি।

আখলাখ সম্পর্কিত

০১. কোন মানুষকে মানুষিক ও শারীরিক কষ্ট না দেওয়া।০২. মা-বাবা এবং মুরুব্বিদের খেদমতে সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখা।০৩. আত্মীয়দের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা ও তাদের যথাযথ প্রাপ্য (অর্থ-সম্পদ ও জমি-জামার ভাগ) ইসলামি ফারায়েজ অনুযায়ী বুঝিয়ে দেওয়া।০৪. পরের হক তথা মানুষের সাথে কথাবার্তা, লেনদেন, ব্যবসায় বাণিজ্য, আচার অনুষ্ঠান ইত্যাদির ব্যাপারে বিশেষ সতর্ক থাকা এবং সুন্নাহর অনুসরণ করা।০৫. সবসময় নিজে ঠকে হলেও অন্যকে জিতিয়ে দেওয়ার মানসিকতা রাখা।০৬. নিজের জন্য যা পছন্দ অপর ভাইয়ের জন্যও তাই পছন্দ করা।০৭. যথাসাধ্য ঋণ করা থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করা।০৮. তরিকতের দিক থেকে সিনিয়রদের শ্রদ্ধা করা।০৯. সালেক হিসেবে নিজেকে সবচেয়ে নগণ্য মনে করা।১০. পবিত্রতা অর্জনের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা।১১. কারো গিবত না করা, কাউকে হেও প্রতিপন্ন না করা।১২. তর্ক বা ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত না হওয়া।১৩. অযথা কারো প্রতি হিংসা বিদ্বেষ না রাখা।১৪. কোনো অবস্থায় নেশাজাতীয় দ্রব্য গ্রহণ না করা।১৫. আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখার ব্যাপারে সর্বাত্মক আন্তরিক হওয়া।১৬. ওয়াদা রক্ষার ব্যাপারে সর্বাত্মক চেষ্টা করা।১৭. কারো থেকে ঋণ গ্রহণ করলে যত দ্রুত সম্ভব পরিশোধ করা।১৮. রাগকে নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে সর্বাত্মক চেষ্টা করা।১৯. গানবাদ্যে অংশগ্রহণ না করা।২০. হদস (অযু বিহীন) ও জুনুব (গোসল ফরজ হয় এমন) অবস্থায় বেশি সময় না থাকা।২১. আমানতের খিয়ানত না করা।২২. মিথ্যা বলা থেকে চিরস্থায়ী বেঁচে থাকা।২৩. কোন ধরনের গালি বা ফাহেশা কথা বলা থেকে বিরত থাকা।২৪. সকল প্রকার হারাম থেকে বেচে থাকা।২৫. সুদ ও ঘুষ থেকে অবশ্যই মুক্ত থাকা।২৬. কারো সাথে কোনোভাবে প্রতারণা না করা।২৭. কোনো ব্যক্তিকে সামনে অথবা পিছনে অপমান অপদস্ত না করা।২৮. হালাল ও হারাম এর ব্যাপারে সর্বদা সতর্কতা অবলম্বন করা।২৯. প্রতিবেশীর হকের ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক থাকা।৩০. পিতামাতার হকের ব্যাপারে সর্বাত্মক আন্তরিক হওয়া।৩১. সন্দেহজনক জিনিস থেকে মুক্ত থাকা।৩২. সাধ্যমতো দানসদকা করা।৩৩. শিক্ষক, আলিম ও মুরব্বিদেরকে বিশেষভাবে সম্মান করা।৩৪. সন্তানকে ইসলামি শিক্ষায় শিক্ষিত করার ব্যাপারে আন্তরিক হওয়া।৩৫. সকল সালেকদের কল্যাণ কামনা করা।৩৬. বিপদে ধৈর্য্যধারণ করা।৩৭. কোনো বিপদে হতাশ না হয়ে আল্লাহর উপর ভরসা করা।

আমালিয়াত সম্পর্কিত

০১. প্রতিটি কাজে রাসুল ﷺ-এর সুন্নতের অনুসরণ করা।০২. সদাসর্বদা আল্লাহর জিকির, কুরআন তিলাওয়াত, তাসবিহ তাহলিল, দূরূদ শরিফ দিয়ে জিহ্বাকে সতেজ রাখা।০৩. সদাসর্বদা মৃত্যুকে স্মরণ ও ইস্তিগফারের হালতে থাকা।০৪. যথাসাধ্য খেদমতে খালকের চেষ্টা করা।০৫. বিনিময় (উজরত) ছাড়া ইখলাসের সাথে সকল দীনি কার্যক্রম পরিচালনার চেষ্টা করা।০৬. হক্কানি আলিম, জিকির ও এলেমের মাজলিসে নিজেকে উপস্থিত রাখা।০৭. প্রতিদিন কমপক্ষে ১ ঘণ্টা রিয়াযত করা।০৮. প্রতিদিন কমপক্ষে ১ বার সকল মাহবুবিন ও মুকাররবিনদের সালাম দেওয়া।০৯. নিয়মিত খানকাহ শরিফে যাতায়াত করা।১০. মুরাকাবায় প্রাপ্ত বিষয়াদি ও সবকের গোপনীয়তা রক্ষা করা।১১. সর্বদা অযু অবস্থায় ও গুনাহ মুক্ত থাকার চেষ্টা করা।১২. ৪০ হাদিস মুখস্থ করা বাধ্যতামূলক মনে করা।১৩. ৫ ওয়াক্ত সালাত শেষে হাদিয়া শরিফ পড়া বাধ্যতামূলক মনে করা।১৪. প্রতিদিন কমপক্ষে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে একটি করে সিজদাহ দেওয়া।১৫. দোয়ার মাঝে অধিক পরিমানে ইসমে আ‘যম পাঠ করার চেষ্টা করা।১৬. প্রতি জুম‘আর দিন আসরের নামাজের পর মাগরিবের নামাজের পূর্ব মুহুর্তে সিজদায় গিয়ে দোয়া করা।১৭. বছরের পাঁচ রাত্রে (দুই ঈদের রাত, শবে কদরের রাত, শবে বরাতের রাত, আরাফার রাত) কিয়ামুল লাইল করার ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশনা।১৮. ১২ দিনব্যাপী পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নাবি ﷺ মাহফিলে প্রত্যেক দিন অংশগ্রহণ করার সর্বাত্মক চেষ্টা করা।১৯. তরিকার ইমামের বাড়ি বেগমগঞ্জ, নোয়াখালীতে ৩ দিন ব্যাপী বাৎসরিক মাহফিলে অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে চেষ্টা করা।২০. প্রত্যেক দোয়ার মাঝে ইমাম মাহদী (আ)-এর দলভুক্ত হয়ে আখিরিনদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ব্যাপারে বিশেষভাবে দোয়া করা।২১. দাজ্জালের ফেতনা থেকে রক্ষার জন্য দোয়া করা।২২. আখিরিনদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য প্রতিদিন কিছু আমল করা।

একনজরে

image
আল্লামা হযরত মাওলানা
মুহাম্মাদ হুমায়ুন কবির খান
  • জন্ম
    ১৩ মে ১৯৬৯
  • পিতা
    মুহতারাম কারী মোহাম্মাদ খান (র)
  • মাতা
    মুহতারামা নূরুন নিসা (র)
  • জন্মস্থান
    নোয়াগাঁও, রামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর
  • শিক্ষা
    বি.এ(অনার্স), এম.এ (প্রথম শ্রেণি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
    কামিল(প্রথম শ্রেণি), হাদিস বিভাগ
    সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া, ঢাকা
  • পেশা
    লেখক ও গবেষক
  • খলিফা
    ত্বরিকায়ে মদীনার জামা‘য়াত
  • পীর সাহেব
    নূরপুর দরবার শরীফ
    কদমতলী, ঢাকা
  • চেয়ারম্যান 
    (১) তাযকিয়া ফাউন্ডেশন
    কদমতলী, ঢাকা
    (২) নুরুন নিসা ফাউন্ডেশন
    রামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর
  • পরিচালক
    খানকায়ে মাদানিয়া কাসেমিয়া
    দনিয়া, কদমতলী, ঢাকা-১২৩৬
  • প্রকাশক
    সিরাজাম মুনীরা প্রকাশনি, ঢাকা
image
তাযকিয়া ফাউন্ডেশন একটি শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারমূলক অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। যা সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে শুধুমাত্র আল্লাহ রব্বুল আ‘লামিনের সন্তুষ্টি এবং তাঁর প্রিয় হাবীব এর নৈকট্য অর্জন করার লক্ষ্যে পরিচালিত।

লাইভ মাহফিলসমূহ

পডক্যাস্ট

সচরাচর জিজ্ঞাসা

যোগাযোগ

ডোনেট

মাসায়িল

কমিউনিটি

ফটো গ্যালারী

সাবস্ক্রাইব করুন
mail-image

copywrite-image

Tazkia Foundation 2024

Terms and ConditionsReturn and RefundPrivacy Policy